Category: লেয়ার মুরগি

  • লেয়ার মুরগির ঔষধের তালিকা

    লেয়ার মুরগির ঔষধের তালিকা

    লেয়ার মুরগি পালনে নিয়মিতভাবে কিছু ঔষধ দেয়া উচিত। মুরগির গ্রোথ ও প্রোডাকশন সঠিক নিয়মে রাখতে কিছু মেডিসিন শিডিউল করে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এখানে লেয়ার খামারের জন্য নিয়মিত ও সাপ্তাহিক একটি ঔষধের তালিকা দেয়া হল।

    বাচ্চা ও পুলেট লেয়ার মুরগির ঔষধের তালিকা

    ঔষধের নাম সাপ্তাহিক প্রয়োগমাত্রা
    এডি৩ই সপ্তাহে দুইদিন পরপর সকালের পানিতে ১ লিটার পানিতে ১ মিলি।
    লিভার টনিক সপ্তাহে একদিন সকালের পানিতে ২ লিটার পানিতে ১ মিলি।
    ই-সেল সপ্তাহে একদিন সকালের পানিতে ২ লিটার পানিতে ১ মিলি।
    জিংক সপ্তাহে দুইদিন পরপর সকালের পানিতে ১ লিটার পানিতে ১ মিলি।
    ক্যালসিয়ামসপ্তাহে একদিন বিকেলের পানিতে১ লিটার পানিতে ১ মিলি।
    বাচ্চা ও পুলেট মুরগির ঔষধ তালিকা

    ডিমপাড়া লেয়ার মুরগির ঔষধের তালিকা

    ঔষধের নামসাপ্তাহিকপ্রয়োগমাত্রা
    এডি৩ই সপ্তাহে দুইদিন সকালের পানিতে ২ লিটার পানিতে ১ মিলি।
    লিভার টনিক সপ্তাহে একদিন সকালের পানিতে ৩ লিটার পানিতে ১ মিলি।
    ই-সেলএক সপ্তাহ অন্তর পরপর দুইদিন ২ লিটার পানিতে ১ মিলি।
    জিংক সপ্তাহে একদিন সকালের পানিতে ১ লিটার পানিতে ১ মিলি।
    ক্যালসিয়ামসপ্তাহে একদিন বিকেলের পানিতে১ লিটার পানিতে ১ মিলি।
    ডিম পারা মুরগির ঔষধ তালিকা

    লেয়ার মুরগির জন্য শুধুমাত্র এই ঔষধ তালিকা যথেষ্ট নয়। নিয়মিত ভাবে খাদ্যে বেশকিছু মেডিসিন দিতে হয়। যেমন, সালমোনেলাকিলার, টক্সিন বাইণ্ডার, থিওনিন, মিথিওনিন, ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স ইত্যাদি। তবে এইগুলি বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন কোম্পানির ফিডে যুক্ত করা থাকে।

    যদি আপনি নিজে থেকেই লেয়ার মুরগির খাদ্য তৈরী করতে চান, তবে এই মেডিসিনগুলি খাদ্যে মেশাতে হবে। লেয়ার মুরগির খাদ্য তালিকা নিয়ে আমাদের লেখাটি পড়তে পারেন।

    এছাড়াও এক থেকে দুই মাস অন্তর সিআরডি কোর্স করালে মুরগী সুস্থ থাকে। তবে অবশ্যই তা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে করতে হবে।

    লেয়ার মুরগির জন্য ঔষধের পাশাপাশি নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রদান খুবই জরুরী। মুরগির ভাইরাস জনিত রোগের জন্য টিকা প্রদানের বিকল্প নেয়। তাই মেডিসিনের পাশাপাশি আপনাকে নিয়মিত টিকা প্রদানও করতে হবে। লেয়ার মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল নিয়ে আমাদের এই লেখাটি পড়তে পারেন।

  • লেয়ার মুরগির লাইটিং (আলোক ব্যবস্থাপনা)

    লেয়ার মুরগির লাইটিং (আলোক ব্যবস্থাপনা)

    লেয়ার মুরগির লাইটিং বা আলোক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিমের প্রডাকশন হার লাইটিং উপর নির্ভর করে। সঠিক নিয়মে লাইট প্রদান না করলে কাংক্ষিত ওজন আসে না। ফলে সঠিক সময়ে ডিমে আসেনা।

    লেয়ার মুরগির লাইটিং শিডিউল

    অঞ্চল ও মুরগির জাত অনুসারে লাইটিং শিডিউল ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে সাধারন ভাবে আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত চার্টটি অনুসরন করা যেতে পারে।

    বয়স (সপ্তাহ)আলোকপ্রদান (সময়)
    ১ সপ্তাহইন্টিমেন্ট প্রোগ্রাম
    ২ সপ্তাহ২২ ঘন্টা
    ৩ সপ্তাহ২০ ঘন্টা
    ৪ সপ্তাহ১৮.৫ ঘন্টা
    ৫ সপ্তাহ১৭ ঘন্টা
    ৬ সপ্তাহ১৫.৫ ঘন্টা
    ৭ সপ্তাহ১৪ ঘন্টা
    ৮ সপ্তাহ১৩.৫ ঘন্টা
    ৯ সপ্তাহ১৩ ঘন্টা
    লেয়ার মুরগির লাইটিং
    বয়স (সপ্তাহ) আলোকপ্রদান (সময়)
    ১০-১১ সপ্তাহ১২ ঘন্টা
    ১২ – ১৭ সপ্তাহশুধুমাত্র দিনের আলো
    ১৮ সপ্তাহ১২.৩০ ঘন্টা
    ১৯ সপ্তাহ১৩ ঘন্টা
    ২০ সপ্তাহ১৩.৩০ ঘন্টা
    ২১ সপ্তাহ১৪ ঘন্টা
    ২২ সপ্তাহ১৪.৫ ঘন্টা
    ২৩ সপ্তাহ১৫ ঘন্টা
    ২৪-৮০ সপ্তাহ১৬ ঘন্টা
    লেয়ার মুরগির লাইটিং

    লেয়ার মুরগির ইন্টমেন্ট লাইটিং প্রোগ্রাম :

    ব্রুডিং এর সময় প্রথম সপ্তাহে ইন্টমেন্ট লাইটিংপদ্ধতি উত্তম। অর্থাৎ ৪ ঘন্টা আলো এবং দুই ঘন্টা অন্ধকার। বুঝার সুবিধার্থে নিচের ছবিটি দেখা যেতে পারে।

    ব্রুডিং পিরিয়ডে লাইটিং

    আলোর তীব্রতা

    আলোর তীব্রতা খুব গুরুত্বপূর্ন। তীব্রতা বেশি হলে মুরগীর ঠোকরা-ঠুকরি (ক্যানিবালিজম) বেড়ে যেতে পারে। দ্রুত ডিমে চলে আসতে পারে। প্রলাপ্স বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে কম হলে সঠিকভাবে ওজন বৃদ্ধি পাবেনা।

    বয়স (সপ্তাহ)তীব্রতা (লাক্স)
    ১ সপ্তাহ৩০-৫০ লাক্স
    ২ – ৪ সপ্তাহ২৫ লাক্স
    ৫ – ১৩ সপ্তাহ৫-১৫ লাক্স
    ১৪ – ১৭ সপ্তাহ১৫-২৫ লাক্স
    ১৮ – ৮০ সপ্তাহ৩০ লাক্স
    আলোর তীব্রতা চার্ট

    আলোর তীব্রতা সাধারন খামারীদের বোঝার জন্য একটি সহজ উপায় উপস্থাপন করা যেতে পারে। সাধারণ খবরের কাগজ বা পত্রিকা দিয়ে বিষয়টি সহজে অনুধাবন করা যায়।

    তীব্রতা (লাক্স)বোঝার উপায়
    ৩০-৫০ লাক্সপত্রিকা স্পষ্ট পড়া যাবে। বেশীক্ষন পড়লে চোখে প্রদাহ অনুভব হবে।
    ২৫ লাক্সপত্রিকা সাধারনভাবে পড়া যাবে।
    ৫-১৫ লাক্সপত্রিকা স্পষ্টভাবে পড়া যাবেনা।
    ১৫-২৫ লাক্সপত্রিকা খেয়াল করে পড়া যাবে।
    ৩০ লাক্সপত্রিকা স্পষ্ট পড়া যাবে।
    আলোর তীব্রতা চার্ট

    অটোমেটিক বা কন্ট্রোল শেডের জন্য নিচের চার্টটি অনুসরন করা যেতে পারে।

    লেয়ার মুরগির লাইটিং
    লেয়ার মুরগির লাইটিং প্রোগ্রাম ভালো ভাবে অনুধাবন করতে চাইলে হাই-লাইন ইন্টারন্যাশনাল এর ডকুমেন্ট গুলি পড়ে দেখতে পারেন এখানে।
  • লেয়ার মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল

    লেয়ার মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল

    বানিজ্যিক লেয়ার মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়। খামারকে ভাইরাস জনিত রোগ থেকে মুক্ত রাখতে হলে যথাযথভাবে টিকা প্রাদান করার বিকল্প নেই। মুরগির টিকাপ্রাদন তালিকা প্রনয়নে, অনেকগুলি বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। যেমন, লেয়ারের জাত, প্রাপ্ত ইমিউনিটি, এলাকা, আবহাওয়া, মুরগির স্বাস্থ ইত্যাদি।

    যদিও বিভিন্ন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানি বিভিন্ন টিকাদান কর্মসূচি প্রস্তাবন করে থাকে। তবে আমাদের দেশে সর্বাধিক প্রচলিত লেয়ার মুরগির টিকাদান কর্মসূচি নিচে উল্লেখ করা হলো।

    বাণিজ্যিক লেয়ার মুরগির প্রস্তাবিত টিকাদান কর্মসূচি

    বয়স রোগের নামভ্যাকসিনের নামপ্রকৃতিপ্রয়োগ পদ্ধতি
    ১-৩ দিনম্যারেক্স
    রাণীক্ষেত+ ব্রংকাইটিস
    ম্যারেক্স,
    আইবি+ এনডি
    লাইভঘাড়ের চামড়ার নিচে ইনজেকশন
    চোখে ফোঁটা
    ৭-৯ দিনগামবোরো আই বি ডিলাইভফুখে ফোঁটা
    ১০-১২ দিনরাণীক্ষেত+ গামবোরোজি + এনডিকিল্ডঘাড়ের চামড়ার নিচে ইনজেকশন
    ১৬-১৭ দিনরাণীক্ষেতল্যাসোটালাইভচোখে ড্রপ
    ১৮-২০ দিনগামবোরোআই বি ডিলাইভখাবার পানিতে
    ২৪-২৮ দিনএভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা
    (বার্ড ফ্লু)
    এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (H5N1)কিল্ডচামড়ার নিচে ইনজেকশন
    ৩০-৩৫ দিন ফাউল পক্সফাউল পক্সডি এন এ লাইভডানায়সূচ ফুটানো
    ৪০-৪৫ দিন মাইকোপ্লাজমামাইকোপ্লাজমাকিল্ডঘাড়ের চামড়ার নিচে ইনজেকশন
    ৬-৭ সপ্তাহরাণীক্ষেতএনডিকিল্ডঘাড়ের চামড়ার নিচে ইনজেকশন
    ৮ সপ্তাহফাউল কলেরাফাউল কলেরাকিল্ডনির্দেশনা মোতাবেক
    ৯ সপ্তাহ ইনফেকশাস করাইজা, সালমোনেলাকরাইজা + সালমোনেলাকিল্ড
    লাইভ
    নির্দেশনা মোতাবেক
    ১০ সপ্তাহব্রংকাইটিস (ভ্যারিয়ান্ট)আইবি ভ্যারিয়ান্টলাইভখাবার পানিতে
    ১২ সপ্তাহফাউল কলেরাফাউল কলেরাকিল্ডনির্দেশনা মোতাবেক
    ১৫-১৬ সপ্তাহএভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা
    (বার্ড ফ্লু)
    এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (H5N1)কিল্ডচামড়ার নিচে ইনজেকশন
    ১৬ সপ্তাহকরাইজা, সালমোনেলা, রাণীক্ষেত, ব্রংকাইটিস
    ও এগ ড্রপ সিন্ড্রোম
    জি + এনডি +আইবি + ইডিএসকিল্ডনির্দেশনা মোতাবেক

    বিশেষ নোটঃ

    প্রতি ৬ মাস অন্তর রানীক্ষেত কিল্ড ভ্যাকসিন দিতে হবে। ভ্যাকসিন টাইটার কমে গেলে লাইভ ভ্যাকসিন করা যেতে পারে। সালমোনেলা রোগের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার পূর্বে মুরগি সালমোনেলা মুক্ত কিনা পরীক্ষা করে নিলে ভ্যাকসিন কার্যকর হয়ে থাকে।

    উল্লেখ্য বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে ভ্যাকসিন বাজারজাত করে থাকে। এক্ষেত্রে রোগের নাম অনুযায়ী ভ্যাকসিন নির্বাচন করতে হবে।

    এলাকা আবাহাওয়া, মুরগির স্বাস্থ ইত্যাদি বিবেচনায় উল্লেখিত লেয়ার মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল পরিবর্তন করা যেতে পারে।

    আরো পড়তে পারেন…

    দেশি মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল

    ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল

    সোনালি মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল

    ব্রয়লার মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল

    হাঁসের ভ্যাকসিন সিডিউল

  • লেয়ার মুরগির খাদ্য তালিকা || নিজেই তৈরী করুন খাদ্য।

    লেয়ার মুরগির খাদ্য তালিকা || নিজেই তৈরী করুন খাদ্য।

    লেয়ার মুরগির খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হলে সর্বপ্রথম জেনে নেয়া প্রয়োজন উক্ত লেয়ার মুরগি কোন ব্রীডের এবং তার পুষ্টিমান চাহিদা কেমন। প্রত্যেক হাইব্রিড মুরগীর আলাদা আলাদা পুষ্টিমান চাহিদা থাকে। এই নিউট্রিশন মান ডেভেলপকৃত প্যারেন্টস কোম্পানি হতে দিয়ে দেয়া হয়।

    আমাদের দেশে অবশ্য বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নিজেদের ফর্মূলা অনুযায়ী খাবার তৈরী করে থাকে। এক্ষেত্রে তারা মূল লক্ষ রাখে খাদ্যের এনার্জি ও প্রোটিন মানের উপর। লেয়ার মুরগীর ক্ষেত্রে নিউট্রিশন চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য সরবরাহ করা খুব জরুরী। অন্যথায় লেয়ার খামারে বৃহৎ ক্ষতির সম্মুক্ষিন হতে হয়।

    নিচে আমাদের দেশে প্রচলিত খাদ্য উপাদানের ভিত্তিতে একটি আদর্শ লেয়ারের খাদ্য তালিকা দেয়া হলো।

    লেয়ার মুরগির খাবার তৈরির তালিকা

    হাইব্রিড লেয়ার মুরগির জন্য সাধারনত ৫ প্রকার খাবার সরবরাহ করা হয়। যথাঃ

    • লেয়ার স্টার্টার (০-৬ সপ্তাহ)
    • লেয়ার গ্রোয়ার (৭-১৬ সপ্তাহ)
    • প্রি-লেয়ার (১৭-২২ সপ্তাহ)
    • লেয়ার লেয়ার-১ (২৩-৬০ সপ্তাহ)
    • লেয়ার লেয়ার-২ (৬০-৯৫ সপ্তাহ)

    নিচে উক্ত খাদ্য তালিকার একটি লেয়ার ফিড ফরমুলেশন দেয়া হলো।

    খাদ্য উপাদানস্টার্টারগ্রোয়ারপ্রিলেয়ারলেয়ার ১লেয়ার ২
    ভূট্টা৫২ কেজি৫৩.৫ কেজি৫৪.৫ কেজি৫৫ কেজি৫৬ কেজি
    সয়াবিন মিল২৬ কেজি২৫ কেজি২২.৫ কেজি২৩ কেজি২২ কেজি
    রাইচ পালিশ১০ কেজি১০ কেজি১২ কেজি৮ কেজি৭.৫ কেজি
    প্রোটিন ৬০%৭ কেজি৬ কেজি৫ কেজি৪ কেজি৩ কেজি
    লাইমস্টোন / ঝিনুক চূর্ণ২ কেজি২.৫ কেজি৩ কেজি৮ কেজি১০ কেজি
    লবণ৩০০ গ্রাম২৮০ গ্রাম২৫০ গ্রাম২৮০ গ্রাম২৮০ গ্রাম
    ডিসিপি৩০০ গ্রাম৩০০ গ্রাম২৫০ গ্রাম৫০০ গ্রাম৫০০ গ্রাম
    *সালমোনেলা কিলার৩০০ গ্রাম২৫০ গ্রাম২৫০ গ্রাম৩০০ গ্রাম৩২০ গ্রাম
    *প্রিমিক্স২০০ গ্রাম২৫০ গ্রাম২০০ গ্রাম৩০০ গ্রাম৩০০ গ্রাম
    ডিএল- মিথিওনিন১৫০ গ্রাম১৩৫ গ্রাম১২০ গ্রাম১৩০ গ্রাম১২৫ গ্রাম
    এল-লাইসিন১০০ গ্রাম৯০ গ্রাম৭০ গ্রাম৮০ গ্রাম৬০ গ্রাম
    কোলিন ক্লোরাইড৬০ গ্রাম৫০ গ্রাম৪০ গ্রাম৫০ গ্রাম৫০ গ্রাম
    *টক্সিন বাইন্ডার১২৫ গ্রাম১৩৫ গ্রাম১৫০ গ্রাম১৫০ গ্রাম১৫০ গ্রাম
    সোডা ৫০ গ্রাম৭৫ গ্রাম
    *সয়াবিন তেল২০০ গ্রাম১৫০ গ্রাম১০০ গ্রাম
    মোটঃ১০০ কেজি১০০ কেজি১০০ কেজি১০০ কেজি১০০ কেজি

    বিশেষ নোটঃ উল্লেখিত তালিকাতে সয়াবিন তেল ওজন ধরা হয়নি। এবং টক্সিন বাইন্ডার, সালমোনেলা কিলার, ভিটামিন-মিনারেলস প্রিমিক্স প্রয়োজন অনুযায়ী স্ব-স্ব কোম্পানীর নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবহার করতে হবে।

    ফিড এডিটিভস সমূহঃ

    উপাদানস্টার্টারগ্রোয়ারপ্রিলেয়ারলেয়ার ১লেয়ার ২
    এনজাইম৬০ গ্রাম৫০ গ্রাম৮০ গ্রাম৭৫ গ্রাম
    প্রোবায়োটিক৬০ গ্রাম৫০ গ্রাম৪৫ গ্রাম৪৫ গ্রাম৪৫ গ্রাম
    ককসিডিওস্ট্যাট৩০ গ্রাম৩৫ গ্রাম
    ফাইটেজ০.৭৫ গ্রাম০.৭৫ গ্রাম
    থিওনিন৬০ গ্রাম৫০ গ্রাম৩৫ গ্রাম৪৫ গ্রাম৪০গ্রাম

    বিশেষ নোটঃ খামারের মুরগির স্বাস্থ, উৎপাদন, খাদ্য উপাদানের গুণগত মান ও আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে এ খাদ্য তালিকাটিতে পরিবর্তন করা যেতে পারে।

    উল্লেখ্য যে, লেয়ার মুরগির খাদ্য তালিকা উল্লেখিত ফিড এডিটিভস সমূহে প্রয়োজন অনুযায়ী স্ব-স্ব কোম্পানীর নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবহার করতে হবে অথবা অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ান কর্তৃক পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করা যেতে পারে।

    এধরনের তথ্যনির্ভর লেখা নিয়মিত পেতে আমাদের উৎসাহিত করুন। যেকোন একটি বিজ্ঞাপনে ক্লিক করুন এবং আপনার মতামত আমাদেরকে জানান।

    আপনাদের প্রশ্নঃ

    কেন লেয়ার খাদ্য তালিকাতে গম ব্যবহার উল্ল্যেখ হয়নি?

    গম মুরগির দেহে টক্সিন মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই গম ব্যাবহার এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রীষ্মকালে খাদ্য গ্রহন কমিয়ে দিলে গমের ভূষি ব্যাবহার করা যেতে পারে। তবে ভূট্টার পরিবর্তে গম সর্বোচ্চ ৪০% প্রর্যন্ত ব্যাবহার করা যায়।

    আরো পড়ুন..

    লেয়ার মুরগির ঔষধের তালিকা

    সোনালি মুরগির খাবার তৈরি

    ব্রয়লার মুরগির খাদ্য তালিকা

  • বানিজ্যিক লেয়ার মুরগি নিয়ে কিছু তথ্য

    লেয়ার মুরগি কি?

    শুধুমাত্র ডিম উৎপাদনের জন্য যেসকল মুরগি পালন করা হয় তাদেরকে লেয়ার মুরগি বলা হয়। জেনেটিকালি উন্নয়ন ঘটিয়ে অধিক ডিম উৎপাদনের জন্য এ ধরণের মুরগি ডেভেলপ করা হয়। সাধারণত, এরা ১৮ থেকে ১৯ সপ্তাহ বয়স থেকে ডিম দিতে শুরু করে এবং টানা ৭২ থেকে ৭৮ সপ্তাহ বা প্রায় দেড় বছর বয়স পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে। 

    পৃথিবী বিখ্যাত লেয়ার মুরগি উৎপাদন কোম্পানি ও এদের উদ্ভাবিত জাত

    হাই-লাইন

    হাই-লাইন ইন্টারন্যাশনালের সূচনা গত শতাব্দীর শুরুতে। হাই-লাইন ইন্টারন্যাশনাল বা হাই-লাইন আমেরিকান-মালিকানাধীন বহু-জাতীয় জেনেটিক্স সংস্থা। ওয়ালেস তাঁর বাবার দক্ষিণ আইওয়া ফার্মে জেনেটিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছিলেন। জেনেটিক উন্নতির প্রচেষ্টা থেকেই স্বপ্নটি এসেছিল যে একটি নতুন সংস্থা চালু করা।

    ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হাই-লাইন ইন্টারন্যাশনাল। হাই-লাইন কোম্পানি তাদের গ্রাহকদেরকে উদ্ভাবনী পরিচালনার সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা দিয়ে সহয়তা করে থাকে। ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্যরেখে, হাই-লাইন ইন্টারন্যাশনাল উন্নতজাত উদ্ভাবনে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করছে।

    বাংলাদেশে হাই-লাইন এর জনপ্রিয় লেয়ার মুরগিঃ

    গুনগতমান ও ডিমের জন্য হাই-লাইন ব্রাউন ও হাই-লাইন হোয়াইট বাংলাদেশে সবথেকে জনপ্রিয়। বাংলাদেশে কাজি ফার্মস সহ কয়েকটি কোম্পানি হাই-লাইন এর লেয়ার মুরগি বিপানন করে থাকে।

    হেন্ডরিক্স জেনেটিক্স

    হেন্ডরিক্স জেনেটিক্স বিশ্বের সবথেকে বড় লেয়ার ব্রিডিং কোম্পানি। এরা লেয়ার মুরগির ৬ টি বিখ্যাত ব্রান্ড নিয়ে ১০০ টিরও বেশি দেশে কাজ করে। সারাবিশ্বেই এদের ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছে।

    ১৯২৩ সালে হেনড্রিক্স জেনেটিক্স তাদের যাত্রা শুরু করে। মূলত এই সংস্থাটি বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্রান্ডের কোম্পানি অধিগ্রহন করে ও নিজেরা জাত উন্নয়ন করে। সম্প্রতি এরা ফ্রান্সের বিখ্যাত স্যাসো কোম্পানিটিকেও এরা কিনে নিয়েছে।

    হেনড্রিক্স জেনেটিক্স এর ব্রান্ডগুলি হচ্ছে..

    বাংলাদেশে হেন্ডরিক্স জেনেটিক্স এর জনপ্রিয় লেয়ার জাতঃ

    হেনড্রিক্স জেনেটিক্স এর সবকটি ব্রান্ডই বাংলাদেশে বিপুল জনপ্রিয়। তবে প্রতিটি ব্রান্ডেরই কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট রয়েছে।

    লোহম্যান

    লোহম্যান বিভিন্ন ধরণের উন্নত লেয়ার মুরগির জাত সরবরাহ করে। লোহম্যান সাধারনত ডিম পাড়া লেয়ার মুরগির জাত উন্নয়ন করে থাকে। লোহমান ব্রাউন, লোহমান এলএসএল হোয়াইট ও লোহম্যান ট্রাডিশনাল এই তিনটি ব্রান্ড কোম্পানিটি মার্কেটজাত করে থাকে। এটি মূলত একটি জার্মান কোম্পানি।

    বাংলাদেশে লোহম্যান এর জনপ্রিয় লেয়ার জাতঃ

    লোহমান ব্রাউন, লোহমান এলএসএল হোয়াইট লেয়ার জাত বাংলাদেশে জনপ্রিয়। লোহম্যান এর জাতগুলি ডিমের সাইজের জন্য বিখ্যাত।