Category: হাঁস

  • চিনা হাঁস কত দিনে ডিম দেয় -জানুন বিস্তারিত

    চিনা হাঁস (Muscovy Duck) একটি জনপ্রিয় হাঁসের প্রজাতি, যা তার মাংস, ডিম এবং সৌন্দর্যের জন্য পালন করা হয়। এই হাঁসের ডিম উৎপাদন ক্ষমতা এবং ডিম দেওয়ার সময়সূচী সম্পর্কে জানা খামারিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্লগে আমরা চিনা হাঁস কত দিনে ডিম দেয়, ডিম দেওয়ার প্রক্রিয়া, এবং ডিম উৎপাদন বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করব।


    চিনা হাঁস কত দিনে ডিম দেয়?

    চিনা হাঁস সাধারণত ৫-৬ মাস বয়সে ডিম দেওয়া শুরু করে। তবে এই সময় হাঁসের প্রজাতি, খাদ্য, পরিবেশ এবং যত্নের উপর নির্ভর করে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে হাঁস ৪ মাস বয়সেই ডিম দেওয়া শুরু করতে পারে, আবার কিছু ক্ষেত্রে ৭-৮ মাস সময়ও লাগতে পারে।

    ডিম দেওয়ার সময়সূচী:

    • প্রথম ডিম: ৫-৬ মাস বয়সে।
    • ডিম দেওয়ার মৌসুম: সাধারণত বসন্ত এবং গ্রীষ্মকালে (ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই) হাঁস বেশি ডিম দেয়।
    • ডিম দেওয়ার ফ্রিকোয়েন্সি: চিনা হাঁস সপ্তাহে ৩-৫টি ডিম দিতে পারে।

    চিনা হাঁসের ডিম দেওয়ার প্রক্রিয়া

    বাসা তৈরি:

      • হাঁস ডিম দেওয়ার জন্য একটি নিরাপদ এবং আরামদায়ক জায়গা বেছে নেয়।
      • খামারে হাঁসের জন্য বাসা তৈরি করে দিলে তারা সহজে ডিম দেয়।

      ডিম দেওয়ার সময়:

        • হাঁস সাধারণত সকালে বা সন্ধ্যায় ডিম দেয়।
        • একটি হাঁস একবারে ৮-১৫টি ডিম দিতে পারে।

        ডিমে তা দেওয়া:

          • চিনা হাঁস ডিমে তা দিতে পারে। ডিম ফুটতে সাধারণত ৩৫ দিন সময় লাগে।

          চিনা হাঁসের ডিম উৎপাদন বাড়ানোর উপায়

          সুষম খাদ্য প্রদান:

            • হাঁসকে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার (যেমন: ভুট্টা, গম, সয়াবিন) প্রদান করুন।
            • খাবারে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিনের পরিমাণ বাড়ান (যেমন: ঝিনুকের খোলা, হাড়ের গুঁড়ো)।

            পর্যাপ্ত আলো এবং বায়ুচলাচল:

              • হাঁসের ঘরে পর্যাপ্ত আলো এবং বায়ুচলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
              • দিনে কমপক্ষে ১৪-১৬ ঘন্টা আলো প্রদান করুন।

              পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ:

                • হাঁসের ঘর এবং আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন।
                • নিয়মিত পানি পরিবর্তন করুন।

                স্ট্রেস মুক্ত পরিবেশ:

                  • হাঁসকে শান্ত এবং স্ট্রেস মুক্ত পরিবেশে রাখুন।
                  • অতিরিক্ত শব্দ বা ভিড় এড়িয়ে চলুন।

                  নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা:

                    • হাঁসের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দিন।

                    চিনা হাঁসের ডিমের বৈশিষ্ট্য

                    • আকার: চিনা হাঁসের ডিম সাধারণত মুরগির ডিমের চেয়ে বড় হয়।
                    • রং: ডিমের রং সাদা বা হালকা ক্রিম রঙের হয়।
                    • পুষ্টিগুণ: চিনা হাঁসের ডিমে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে।

                    উপসংহার

                    চিনা হাঁস সাধারণত ৫-৬ মাস বয়সে ডিম দেওয়া শুরু করে এবং সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা পেলে তারা নিয়মিত ডিম দেয়। হাঁসের ডিম উৎপাদন বাড়াতে সুষম খাদ্য, পরিষ্কার পরিবেশ এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিনা হাঁস পালন করে আপনি সহজেই ডিম এবং মাংস উৎপাদন করে লাভবান হতে পারেন।

                    মনে রাখবেন, সঠিক যত্নই হাঁসের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর চাবিকাঠি!

                  1. চিনা হাঁসের আয়ুষ্কাল: চিনা হাঁস কত বছর বাঁচে এবং কীভাবে তাদের আয়ু বাড়ানো যায়?

                    চিনা হাঁসের আয়ুষ্কাল: চিনা হাঁস কত বছর বাঁচে এবং কীভাবে তাদের আয়ু বাড়ানো যায়?

                    চিনা হাঁস (Muscovy Duck) একটি অনন্য ও জনপ্রিয় হাঁসের জাত, যা প্রধানত দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা এবং বিভিন্ন উষ্ণ অঞ্চলে দেখা যায়। এই হাঁসদের জীবনকাল পরিবেশ, যত্ন ও খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে সাধারণভাবে, চিনা হাঁস দীর্ঘ জীবনযাপনকারী হাঁসদের মধ্যে একটি।

                    চিনা হাঁস কত বছর বাঁচে?

                    চিনা হাঁস সাধারণত ৮ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে, তবে সঠিক যত্ন ও নিরাপদ পরিবেশ পেলে তাদের আয়ু ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। পোষা চিনা হাঁস সাধারণত বন্য চিনা হাঁসের তুলনায় বেশি বছর বাঁচে কারণ তারা শিকারী প্রাণী ও প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে সুরক্ষিত থাকে।

                    প্রাকৃতিক পরিবেশে চিনা হাঁস সাধারণত ৮ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। তবে ভালো যত্ন, সঠিক পুষ্টি ও নিরাপদ আশ্রয়ের মাধ্যমে এদের আয়ু ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।

                    চিনা হাঁসের আয়ু নির্ভর করে যেসব বিষয়ের উপর

                    ১. পরিবেশ ও আবাসস্থল – চিনা হাঁসদের মুক্তভাবে থাকার সুযোগ থাকলে ও নিরাপদ পরিবেশ পেলে তারা দীর্ঘদিন বাঁচে।
                    2. খাদ্য ও পুষ্টি – পুষ্টিকর খাবার যেমন শস্য, পোকামাকড়, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি এদের সুস্থ রাখে এবং আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে।
                    3. চিকিৎসা ও যত্ন – নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকা ও ভালো পরিচর্যা হাঁসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং তাদের দীর্ঘজীবী হতে সাহায্য করে।
                    4. শিকারী ও বিপদ – বন্য প্রাণী, কুকুর বা অন্যান্য শিকারীর আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকলে এদের আয়ু দীর্ঘ হয়।

                    চিনা হাঁসের জীবনকাল কীভাবে বাড়ানো যায়?

                    চিনা হাঁসের আয়ু বাড়ানোর জন্য নিচের কিছু টিপস অনুসরণ করা যেতে পারে:

                    • পুষ্টিকর খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করা।
                    • পরিচ্ছন্ন ও আরামদায়ক আশ্রয়স্থল তৈরি করা।
                    • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ও প্রয়োজনীয় টিকা দেওয়া।
                    • শিকারীদের হাত থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করা।
                    • তাদের পর্যাপ্ত জায়গা দেওয়া যাতে তারা মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারে।

                    পোষা ও বন্য চিনা হাঁসের মধ্যে পার্থক্য

                    পোষা চিনা হাঁস সাধারণত ১৫-২০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে, কারণ তারা উন্নত খাবার ও নিরাপত্তা পায়। অন্যদিকে, বন্য চিনা হাঁসের জীবনকাল তুলনামূলক কম হয়, সাধারণত ৮-১২ বছর, কারণ তারা খাদ্য সংকট, আবহাওয়া পরিবর্তন, রোগ ও শিকারীদের আক্রমণের মুখোমুখি হয়।

                    উপসংহার

                    চিনা হাঁস একটি দীর্ঘজীবী হাঁসের জাত, যা সঠিক পরিচর্যা ও যত্ন পেলে অনেক বছর বাঁচতে পারে। যারা চিনা হাঁস পালন করতে চান, তাদের উচিত এদের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করা, যাতে তারা সুস্থ ও দীর্ঘায়ু হয়।

                  2. হাঁসের বাচ্চার মারাত্মক রোগ: ডাক ভাইরাল হেপাটাইটিস


                    ডাক ভাইরাল হেপাটাইটিস হাঁসের ছানার একটি মারাত্মক সংক্রামক ভাইরাস জনিত রোগ। যকৃত প্রদাহ এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

                    লক্ষণঃ
                    সাধরণতঃ তিন সপ্তাহের কম বয়সী হাঁস আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত হাঁসের ছানা চলাফেরা বন্ধ করে দেয় এবং একপার্শ্বে কাত হয়ে পড়ে থাকে। আংশিকভাবে চোখ বন্ধ করে থাকে। কিছু কিছু ছানা ঈষৎ সবুজ বর্ণের পাতলা পায়খানা করে। খিঁচুনী হয় এবং ঘাড় পিছনে বেঁকে যায়। ১ সপ্তাহ কম বয়সী ছানার মৃত্যুহার প্রায় ৯৫%।

                    প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রনঃ
                    তিন সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত হাঁসের বাচ্চাকে বয়স্ক হাঁস থেকে পৃথক ভবে পালন করতে হবে। আক্রান্ত ছানাকে সুস্থ্য ছানা থেকে আলাদা করে চিকিৎসা দিতে হবে। বাসস্থান ও খামার সরঞ্জাম পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। হাঁসের বাচ্চাকে টিকা প্রদান করতে হবে।

                    চিকিৎসাঃ
                    এ রোগের কার্যকরী কোন চিকিৎসা নাই। তবে ইমিউন ডাক থেকে (রোগ থেকে সেরে ওঠা) এন্টিসিরা ইনজেকশন .৫ এমএল করে ব্যবহার করা যেতে পারে।

                  3. হাঁসের ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির উপায়

                    হাঁসের ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির উপায়

                    হাঁস পালন একটি লাভজনক পেশা। হাঁস পালনে লাভবান হতে চাইলে অধিক ডিম উৎপাদনের কোন বিকল্প নেই।হাঁস পালনে খামারিদের চিন্তার কারণ ঠিকমতো হাসের ডিম না পাড়া। মূলত সঠিক নিয়মে খাদ্য ও পরিচর্যা না করার কারনেই হাঁস ঠিকমতো ডিম পাড়েনা। এখানে আমারা হাঁসের ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।

                    হাঁস ডিম না পাড়ার কারণ কি

                    প্রথমত আমরা হাঁসের ডিম না পাড়ার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করতে চাই।

                    • হাঁস অসুস্থ কিনা। ঠিকমতো খাদ্য খাচ্ছে কিনা?
                    • হাঁসের বয়স কতদিন? হাঁসের ডিম পাড়ার বয়স হয়েছে কিনা? নাকি বেশি বয়স হয়ে গিয়েছে।
                    • হাঁস পানিতে, পুকুরে বা অন্যকোথাও ডিম পাড়ছে কিনা। বা অন্য কোনভাবে নষ্ট হচ্ছে কিনা
                    • হাসের অতিমাত্রায় চর্বি বা ফ্যাট হয়েছে কিনা।
                    • হাঁস পশম ছাড়ছে কিনা।

                    হাঁস ডিম পাড়া বন্ধ করে দেয় কেন

                    বিভিন্ন স্ট্রেস এর কারনে হাস ডিম দেয়া বন্ধ করে দিতে পারে। স্ট্রেস অনেক কিছু থেকেই হতে পারে, যেমন উচ্চ শব্দ, হাস কে তাড়ানো হলে, বাসস্থান বা তাদের পরিবেশের পরিবর্তন ঘটালে ইত্যাদি। এমনকি খাদ্য পরিবর্তন, ব্যক্তি বা শিকারী প্রাণী দ্বারাও স্ট্রেস আসতে পারে।

                    যেভাবে হাঁসের ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন

                    • সঠিক নিয়মে খাদ্য প্রদান করবেন। হাঁসের খাদ্য তালিকা নিয়ে আমাদের লেখাটি পড়তে পারেন।
                     হাঁসের খাদ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে জানুন বিস্তারিত 

                    • হাঁসের খাদ্যে প্রোটিন মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে শামুক খাওয়ানো যেতে পারে। শামুকে প্রোটিন উপাদান বেশি থাকে। ডিম উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে।
                    • হাঁসের বাসস্থান নির্জন রাখার চেষ্টা করতে হবে। রাতে কোনোভাবেই হাঁসকে ডিস্টার্ব করা যাবেনা। মনে রাখতে হবে, হাঁসের স্ট্রেস ডিম উৎপাদন ব্যাহত করে।
                    • রাতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লাইটিংবা আলো দেয়া যেতে পারে।
                    • খাদ্যের পরিমান বাড়াতে পারেন। অবশ্যই খাদ্য মান ভালো হতে হবে।
                    • নিয়মিত ভ্যাক্সিন বা টিকা দিতে হবে। ডিম উৎপাদনের জন্য হাঁসের রোগ বালাই দমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাঁসকে অবশ্যই সুস্থ রাখতে হবে। হাঁস পালন করার ক্ষেত্রে হাঁসের বেশকিছু রোগ বালাই দেখা যায়। হাঁসের দুটি মারাত্নক রোগ ডাক-প্লেগ ও ডাক-কলেরা। এই দুটি রোগের ব্যাপারে অবশ্যই টিকা দিতে হবে। তবে যদি কোন হাঁস অসুস্থ্য হলে সেই হাঁসকে দ্রুত অন্যান্য হাঁস থেকে সরিয়ে নিতে হবে।
                    • হাঁসকে প্রচুর পরিমানে পরিস্কার সাদা পানি দিতে হবে। ময়লা পানি থেকে দূরে রাখতে হবে।
                    • বছরে একবার মল্টিং বা পশম ঝড়িয়ে দিলে হাঁসের ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
                    • হাঁসের খামারে অপরিচিত মানুষ বা অন্য কোন প্রাণী ঢুকতে দেয়া যাবেনা। হাঁস প্রচুর ভয় পায়। হাসের খামার নির্জন নিরিবিলি রাখলে হাসের ডিম উৎপাদন বাড়ে।

                    হাঁসের ডিম বৃদ্ধির ঔষধ

                    সঠিকভাবে যত্ন-পরিচর্যা করা ও নিয়মিত কিছু ভিটামিন ও মিনারেল হাঁসের ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে কাজ করে। যেমন, এডি৩ই, ই-সেল, জিংক, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। উল্লেখিত ঔষধগুলি কিছুদিন অন্তর নিয়মিতভাবে হাঁসকে দেয়া যেতে পারে।

                    উল্লেখিত বিষয়গুলি মেনে চললে ইনশাআল্লাহ অবশ্যই হাঁসের ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

                  4. কোন হাঁস কত দিনে ডিম দেয় – জানুন বিস্তারিত

                    কোন হাঁস কত দিনে ডিম দেয় – জানুন বিস্তারিত

                    হাঁস পালনে একটা সাধারন প্রশ্ন হলো, হাঁস কত দিনে ডিম দেয়? আসলে হাঁস কতদিন বয়সে ডিম পাড়বে তা, কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে। যেমন হাঁসের জাত, খাদ্যমান, সময়কাল, ওজন ইত্যাদি।

                    নিচে আপনাদের মনে আসা কোন হাঁস কত দিনে ডিম দেয় বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।

                    খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস কত দিনে ডিম দেয়

                    বাণিজ্যিকভাবে হাঁসের ডিম উৎপাদনের জন্য খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস সবচেয়ে জনপ্রিয়। সাধারণত খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস সাড়ে চার থেকে পাঁচ মাস বয়সে ডিম দেয়। একটানা দুই বছর ভালো ডিম পাড়ে।

                    খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস বছরে প্রায় ২৫০ থেকে ২৮০ টি ডিম পাড়তে পারে।

                    দেশি হাঁস কত দিনে ডিম দেয়

                    দেশি হাঁস একটু দেরিতে ডিম পাড়ে। সাধারণত পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মাস বয়সে ডিমে আসে।

                    দেশি হাঁস বছরে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টি ডিম দিয়ে থাকে।

                    বেইজিং হাঁস কত দিনে ডিম দেয়

                    বেইজিং বা পিকিং হাঁস চার থেকে পাঁচ মাস বয়সে ডিম পাড়ে। বেইজিং হাঁস বছরে প্রায় ২২০ থেকে ২৬০ টি ডিম পাড়তে পারে।

                    চিনা হাঁস কত দিনে ডিম দেয়

                    চিনা হাঁস ছয় থেকে সাত মাস বয়স হলে ডিম পাড়ে। এরা অনেক বছর ধরে ডিম দিয়ে থাকে।

                    চিনা হাঁস বছরে প্রায় ৬০ থেকে ১২০ টি ডিম পাড়ে। গরমকাল এদের ব্রিডিং সিজন।

                    রাজ হাঁস কত দিনে ডিম দেয়

                    রাজহাঁস সাধারণত আট মাস বয়সের পরে ডিম দেয়। রাজহাঁস শীতকালে ডিম পাড়ে। গরমে ডিম উৎপাদনে আসে না। বছরে এক থেকে দুইবার ডিম পাড়ে। একসাথে ৬ থেকে ১২ টি ডিম দিয়ে হ্যাচে বসে।

                    ইন্ডিয়ান রানার হাঁস কত দিনে ডিম দেয়

                    রানার বা ইন্ডিয়ান রানার হাঁস সাড়ে চার থেকে পাঁচ মাস বয়সে ডিম দেয়।

                    ইন্ডিয়ান রানার হাঁস বছরে প্রায় ২৫০ থেকে ২৭০ টি ডিম পাড়ে।

                    কোন হাঁস বেশি ডিম দেয়

                    খাকি ক্যাম্পবেল ও ইন্ডিয়ান রানার হাঁস বেশি ডিম দেয়। তবে জিনডিং হাঁসও ভালো ডিম পারে। ভালো মানের খাদ্য দিলে এই জাত গুলি বছরে প্রায় ৩০০ এর উপর ডিম পাড়তে পারে। অবশ্যই ভালো ব্যাবস্থাপনা করতে হবে।

                  5. বাণিজ্যিকভাবে চীনা হাঁস পালন পদ্ধতি

                    বাণিজ্যিকভাবে চীনা হাঁস পালন পদ্ধতি

                    বাণিজ্যিক মাসকোভি বা চীনা হাঁস পালনের ব্যবসা শুরু করা সহজ। কারণ চীনা হাঁস তুলনামূলকভাবে শক্ত প্রকৃতির এবং তুলনামূলকভাবে কম যত্নে পালন করা যায়। অন্যান্য হাঁসের তুলনায় এরা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়।বাণিজ্যিকভাবে চীনা হাঁস পালন একটি লাভজনক ব্যবসায়ের ধারণা হতে পারে। এখানে আমরা চীনা হাঁসের বাচ্চা থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত সকল পদ্ধতি ও পরিচালনা সম্পর্কে বিস্বতারিত বর্ণনা করার চেষ্টা করছি।

                    চীনা হাঁসের সাধারণ বৈশিষ্ট্যঃ

                    ভারী জাত হিসাবে মাসকোভি বা চীনা হাঁসকে তালিকাভুক্ত করা হয়। এদের প্রশস্ত পা ও সমান লেজ বিদ্যমান। নখর বেশ বড় ও বাকানো। শরীরের পালক কালচে পীত কালারের। এদের ডানায় সাদা পালকের সাথে সবুজাভ-কালো পালক থাকে। মুখের উপর লালচে গিট বিদ্যমান। যেটি বাচ্চা অবস্থায় না থাকলেও বয়স হলে দৃশ্যমান হয়। মুখের ত্বক কালচে। পা কালো ও চোখ বাদামি।

                    চিনা মদ্দা বা হাঁসা গুলি মায়া হাঁসের প্রায় দ্বিগুণ। সাধারণত, মদ্দা হাঁসের দৈর্ঘ্য প্রায় 34 ইঞ্চি (86 সেমি) এবং গড় ওজন প্রায় ৪.৬ থেকে ৬.৮ কেজি। মায়া হাঁসের পালক ও গঠনও একইরকম হয় তবে এটি আকারে আরও ছোট। মায়া হাঁসের ওজন ২.৬ থেকে ৩.৬ কেজি পর্যন্ত হয়।

                    এরা শান্ত স্বভাবের পাখি। তবে অপরিচিত কাউকে দেখলে তেড়ে যেতে পারে। হিস-হিস শ্বব্দ করে চলাফেরা করে। অন্য জাতের হাঁসের সাথে এরা মিলে থাকতে পারে।

                    চীনা হাঁস ভাল উড়তে পারে এবং উড়ে অনেকদূর পর্যন্ত যেতে পারে। তাই এদের ডানা-ক্লিপ করা প্রয়োজন। মাসকোভি হাঁস পালনের জন্য বেশী পানির প্রয়োজন নেই। সাধারণত অন্যান্য হাঁসের মতো এরা সাঁতার কাটে না।

                    কেন চীনা হাঁস পালন করবেন

                    • মাসকোভি বা চীনা হাঁস অনেকবছর ধরে ডিম এবং মাংসের জন্য পালন করা যায়।
                    • যেকোনো হাঁসের তুলনায় সর্বাধিক মাংস উৎপাদনকারি হাঁস ।
                    • ফ্যাট, চর্বিহীন উন্নত মানের মাংস।
                    • রোগবালাই কম। অনেক বছর বেচে থাকে।
                    • শান্ত স্বভাবের। অন্য যেকোন হাসের সাথে পালন করা যায়।
                    • পুকুর জলাশয় বা অধিক পানির প্রয়জোন নেই।
                    • লাভজনকভাবে দীর্ঘদিন পালনকরে ব্যাবসা করা যায়।

                    চীনা হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ

                    হাঁসের বাসস্থানঃ

                    চীনা হাঁসের খাদ্য ও পানি ব্যবস্থাপনাঃ

                    চীনা হাঁসের প্রজননঃ

                    বাজারজাতকরণঃ

                  6. হাঁসের ডাক প্লেগ রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

                    হাঁসের ডাক প্লেগ রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

                    হাঁসের অন্যতম একটি মারাত্বক রোগ হচ্ছে ডাক প্লেগ। ৯০ থেকে ১০০% পর্যন্ত মারা যেতে পারে এই ডাক প্লেগ রোগে। এ রোগের অপর নাম ডাক ভাইরাস এন্টারাইটিস। ডাক প্লেগ হারপেস (Herpes) গ্রুপের এক প্রকার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়।

                    আমাদের দেশে সবথেকে বেশি দেখা যায় এই ডাক প্লেগ রোগ। তবে সরকারিভাবে এটির টিকা রয়েছে।

                    লক্ষণসমূহ

                    • হঠাত আক্রান্ত হয় (একিউট) এবং অনেক মারা যায় যেতে থাকে।
                    • খাদ্য কম ও কিন্তু পানি বেশি খায়।
                    • পালক এলোমেলো ও পাখনার উপর ভর করে ঝিমাতে থাকে।
                    • চোখের পাতা ফুলে যায়,পানি পড়ে ও ময়লা জমে।
                    • ঘাড় পাশে বা পিছনের দিকে বেকে যায় ও মারা যায়।
                    • মাথা ঘাড় ঘুরতে থাকে ও মারা যায়।
                    • ময়নাতদন্ত করলে হাঁসের হৃদপিণ্ড, কলিজা এবং ডিম্বথলিতে জমাটবাঁধা রক্ত পাওয়া যায়।

                    চিকিৎসা

                    রেনামাইসিন বা ইএস বি ৩ দেয়া যেতে পারে।

                    নিয়মিত টিকা প্রাদান করতে হবে। ১ম বার ২১-২৮দিনে, ২য় বার ৩৬-৪৩ দিনে বুকের মাংসে।পরবর্তিতে   ৪-৫ মাস পর পর।

                    সরকারী টিকা ১০০ ডোজ, ১০০ মিলি পরিষ্কার পানির সাথে মিশিয়ে বুকের মাংসে 1ml করে ইনজেকশন দিতে হবে।

                    প্রতিরোধ ও সতর্কতা

                    সঠিকভাবে হাসের ভ্যাক্সিন সিডিউল মেনে চলতে হবে। হাঁসকে ভালোমানের খাদ্য দিতে হবে।অসুস্থ হাঁসকে আলাদা করে চিকিৎসা দিতে হবে। 

                  7. হাঁসের কলেরা রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

                    হাঁসের কলেরা রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

                    ডাক কলেরা একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। এটি হাঁস-মুরগি উভয়েরই হয়ে থাকে। সাধারণ দুই মাস বা এর বেশি বয়সী হাঁস বেশি ঝুঁকিতে থাকে। পানি বা খাবার থেকেই এ রোগের সংক্রমণ ঘটে। এটি পাস্টোরেলা মাল্টোসিডা নামক ব্যাক্টেরিয়া দিয়ে হয়।মৃত্যহার ৫০% বা তারও বেশি হতে পারে।

                    লক্ষণসমূহ

                    • এ ক্ষেত্রেও হাঁসপাতলা সবুজ পায়খানা করে। 
                    • আক্রান্ত হাঁসর হাঁটু ও মাথা ফুলে যায়।
                    • পা প্যারালাইসিস হয় এবং সবুজ পায়খানা হয়।
                    • শ্বাসকষ্ট হওয়ায় মুখ হা করে নিশ্বাস নেয়। পিপাসা বেড়ে যায়।
                    • চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও নাক, মুখ, দিয়ে লালা ঝরে।
                    • হাঁস দুর্বল হয়ে পড়ে ও ডিম পাড়ে না।

                    ডাক প্লেগ রোগ হলে পাতলা মলের সাথে সামান্য রক্ত দেখা যায় আর কলেরা হলে মলের সাথে রক্ত মোটেই থাকেনা।

                    চিকিৎসা

                    জেন্টামাইসিন এবং পটেনশিয়াল সালফোনেমাইড (মাইকোনিড, কসুমিক্স ) ভাল কাজ করে।১ম বার ৪৫-৬০ দিনে ,২য় বার বুস্টার ডোজ ১৫ দিন পর ৬০-৭৫ দিন পর, বুকের চামড়ার নিচে।পরবর্তিতে ৪-৫ মাস পর পর।

                    প্রতিরোধ ও সতর্কতা

                    হাঁসের খামার সব সময় পরিস্কার-পরিছন্ন রাখতে হবে। কোন সময় যদি খামারে এ রোগ দেখা দেয় রোগাক্রান্ত হাঁস আলাদা স্থানে রাখতে হবে। যে পাত্রে হাঁসের খাবার দেওয়া হয় খাওয়া হয়ে গেলে সাথে সাথে পরিস্কার করতে হবে। কলেরা রোগ নাহয় সে জন্য আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া খামারের সকল হাঁসকে কলেরা রোগের টিকা দিতে হবে। 

                  8. হাঁসের বিভিন্ন রোগ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

                    হাঁসের বিভিন্ন রোগ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

                    হাঁসের রোগ সাধারণত মুরগির চেয়ে কম হয়ে থাকে। সারাবিশ্বে কোটি কোটি হাঁস পালন করা হয়। এসব হাঁস অনেকাংশে পরিণত বয়সের আগেই মারা যায়। বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণে হাঁসের মৃত্যু হয়ে থাকে। 

                    ডাক ভাইরাল হেপাটাইটিস

                    হাঁসের বাচ্চার সবথেকে মারাত্বক রোগ। যা একদিন বয়স থেকে ৫ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত হতে পারে। মারাত্মক  সংক্রামক রোগটি picorna virus দিয়ে হয়। মার্টালিটি ১০০% পর্যন্ত হতে পারে।

                    লক্ষণসমূহ

                    • ঘাড় বাকা ও কাত হয়ে একদিকে ঘুরতে থাকে
                    • খাদ্য গ্রহন কমিয়ে দেয়।
                    • দ্রুত বিস্তার লাভ করে ও সবুজ পায়খানা করে।
                    • লিভার ও কিডনি স্প্লিন বড় হয়।

                    চিকিৎসা

                    চিকিৎসায় তেমন ভাল রেজাল্ট পাওয়া যায়না। টিকা প্রদান করতে হবে। ডাক ভাইরাল হেপাটাইটিস এর টিকা রয়েছে।

                    প্রতিরোধ ও সতর্কতা

                    ব্রিডারে টিকা দিতে হবে যাতে বাচ্চাতে না আসে। ভালো মানের বিডার থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে।মূলত বাতাসের সাহায্যে এ রোগ ছড়ায় তাই খামারের আশে পাশে পর্দা রাখতে হবে।রোগ প্রতিরোধে হাসকে বাইরের পরিবেশ হতে যথাসম্ভব আলাদা রাখতে হবে। আক্রান্ত মৃত হাঁসকে পুতে ফেলতে হবে ও খামারকে ব্লিচিং পাউডার বা জীবণুনাশক দিয়ে খুব ভালভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে।

                    ডাক প্লেগ

                    হাঁসের অন্যতম একটি মারাত্বক রোগ হচ্ছে ডাক প্লেগ। ৯০ থেকে ১০০% পর্যন্ত মারা যেতে পারে এই ডাক প্লেগ রোগে। এ রোগের অপর নাম ডাক ভাইরাস এন্টারাইটিস। ডাক প্লেগ হারপেস (Herpes) গ্রুপের এক প্রকার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়।

                    আমাদের দেশে সবথেকে বেশি দেখা যায় এই ডাক প্লেগ রোগ। তবে সরকারিভাবে এটির টিকা রয়েছে।

                    লক্ষণসমূহ

                    • হঠাত আক্রান্ত হয় (একিউট) এবং অনেক মারা যায় যেতে থাকে।
                    • খাদ্য কম ও কিন্তু পানি বেশি খায়
                    • চোখের পাতা ফুলে যায়,পানি পড়ে ও ময়লা জমে।
                    • ঘাড় পাশে বা পিছনের দিকে বেকে যায় ও মারা যায়
                    • মাথা ঘাড় ঘুরতে থাকে ও মারা যায়।

                    চিকিৎসা

                    নিয়মিত টিকা প্রাদান করতে হবে। ১ম বার ২১-২৮দিনে, ২য় বার ৩৬-৪৩ দিনে বুকের মাংসে।পরবর্তিতে   ৪-৫ মাস পর পর।

                    সরকারী টিকা ১০০ ডোজ, ১০০ মিলি পরিষ্কার পানির সাথে মিশিয়ে বুকের মাংসে 1ml করে ইনজেকশন দিতে হবে।

                    প্রতিরোধ ও সতর্কতা

                    সঠিকভাবে হাসের ভ্যাক্সিন সিডিউল মেনে চলতে হবে। হাঁসকে ভালোমানের খাদ্য দিতে হবে।

                    ডাক কলেরা

                    ডাক কলেরা একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। এটি হাঁস-মুরগি উভয়েরই হয়ে থাকে। সাধারণ দুই মাস এর বেশি বয়সী হাঁস-মুরগি বেশি ঝুঁকিতে থাকে। পানি বা খাবার হতেই এ রোগের সংক্রমণ ঘটে। এটি পাস্টোরেলা মাল্টোসিডা নামক ব্যাক্টেরিয়া দিয়ে হয়।মৃত্যহার ৫০%।

                    লক্ষণসমূহ

                    • এ ক্ষেত্রেও হাঁসপাতলা সবুজ পায়খানা করে। 
                    • আক্রান্ত হাঁসর হাঁটু ও মাথা ফুলে যায়।
                    • পা প্যারালাইসিস হয় এবং সবুজ পায়খানা হয়।
                    • শ্বাসকষ্ট হওয়ায় মুখ হা করে নিশ্বাস নেয়। পিপাসা বেড়ে যায়।
                    • চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও নাক, মুখ, দিয়ে লালা ঝরে।
                    • হাঁস দুর্বল হয়ে পড়ে ও ডিম পাড়ে না।

                    ডাক প্লেগ রোগ হলে পাতলা মলের সাথে সামান্য রক্ত দেখা যায় আর কলেরা হলে মলের সাথে রক্ত মোটেই থাকেনা।

                    চিকিৎসা

                    জেন্টামাইসিন এবং পটেনশিয়াল সালফোনেমাইড (মাইকোনিড, কসুমিক্স ) ভাল কাজ করে।১ম বার ৪৫-৬০ দিনে ,২য় বার বুস্টার ডোজ ১৫ দিন পর ৬০-৭৫ দিন পর, বুকের চামড়ার নিচে।পরবর্তিতে ৪-৫ মাস পর পর।

                    প্রতিরোধ ও সতর্কতা

                    হাঁসের খামার সব সময় পরিস্কার-পরিছন্ন রাখতে হবে। কোন সময় যদি খামারে এ রোগ দেখা দেয় রোগাক্রান্ত হাঁস আলাদা স্থানে রাখতে হবে। যে পাত্রে হাঁসের খাবার দেওয়া হয় খাওয়া হয়ে গেলে সাথে সাথে পরিস্কার করতে হবে। কলেরা রোগ নাহয় সে জন্য আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া খামারের সকল হাঁসকে কলেরা রোগের টিকা দিতে হবে। 

                    মাইকোটক্সিকোসিস ও বটুলিজম

                    পচা,নষ্ট খাবার থেকে হয়ে থাকে। হাঁস যেহেতু বিভিন্ন নোংরা পানিতে গুগলি খেয়ে থাকে তাই প্রায়শই এই রোগ দুটি দেখা যায়। ক্লোস্টিডিয়াম বটুলিয়াম নামক জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হয়।

                    এটি একধরনের বিষক্রিয়া অন্যদিকে ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগও বটে। যা আপনার খামারে মহামারী আকার ধারন করতে পারে।

                    লক্ষণসমূহ

                    • হঠাৎ করেই অনেক গুলো হাঁস মারা যেতে পারে
                    • নিস্তেজ ও দুর্বল হয়ে পড়ে।
                    • ঘাড়, পা ও পাখা প্যারালাইসিস হতে পারে।
                    • বটুলিজমে পিছন দিক বের হয়ে আসে।
                    • গন্ধ যুক্ত পায়খানা করে।

                    চিকিৎসা

                    আক্রান্ত হাঁসকে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করাতে হবে। এতে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যাবে। প্রয়োজনে লেক্সেটিভ দেওয়া যাবে পানির সাথে।

                    যেহেতু রোগটি ব্যাকটেরিয়া জনিত সেহেতু সময় অপচয় না করে যত দ্রুত সম্ভব একটি ভালো মানের এন্টিবায়োটিক দেয়া যেতে পারে। আক্রান্ত হাঁসের জন্য চিকিৎসা মাত্রায় এবং ভালো হাঁসের জন্য প্রতিরোধক মাত্রায় ৫-৭ দিন।

                    বটুলিজম এন্টি-টক্সিন ০.৫-১ মিঃ লিঃ (Botulism Antitoxin 0.5-1 ml) ইন্ট্রাপেরিটোনিয়েল (Intra Peritoneal) ইনজেক্ট করে দিতে হবে।

                    প্রতিরোধ ও সতর্কতা

                    পঁচা বা বাসি খাবার থেকে বিরত রাখতে হবে। খাদ্যে ভালো মানের টক্সিন বাইণ্ডার ব্যাবহার করতে হবে।আক্রান্ত হাঁসকে আলাদা করতে হবে।

                    আমাশয়

                    সাধারনত বাচ্চা হাঁসে আমাশয় রোগ হয়।আমাশয়ের কারণেই হাঁসের ওজন কমে যায়। টাইজেরিয়া পারনিসিয়া নামক প্রোটোজোয়া এ রোগের কারন।

                    লক্ষণসমূহ

                    • হাসের বাচ্চার ওজন কমে যায়।
                    • খাদ্য কম খায়, দূর্বল হয়ে পড়ে।
                    • প্রথমে সাদাটে ,পরে রক্ত মিশ্রিত পায়খানা করে।
                    • দূর্বল হয়ে মারা যায়।

                    চিকিৎসা

                    ই এস বি৩ বা কসুমিক্স প্লাস দেয়া যেতে পারে ।

                    প্রতিরোধ ও সতর্কতা

                    হাঁসের খামার সব সময় পরিস্কার-পরিছন্ন রাখতে হবে। সঠিক ভাবে হাসের বাচ্চার যত্ন নিতে হবে। যে পাত্রে হাঁসের খাবার দেওয়া হয় খাওয়া হয়ে গেলে সাথে সাথে পরিস্কার করতে হবে। কলেরা রোগ নাহয় সে জন্য আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে।