বিশ্বব্যাপী অনেক হাঁসের জাত থাকলেও আমাদের দেশে কয়েকটি জাত পরিলক্ষিত হয়। আমাদের দেশে প্রাপ্ত জাতগুলির বেশিরভাগই সংকরিত। কারন আমদের দেশে উম্মুক্ত পদ্ধতিতেই বেশী হাঁস পালন করা হয়। এর ফলে জাতের সঠিক বৈশিষ্ট ধরে রাখা কঠিন। তবে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সঠিকভাবে হাঁসের জাত সংরক্ষনের চেষ্টা চলছে।
হাঁস সাধারণত ডিম উৎপাদনের জন্য পালন করা হলেও মাংস উৎপাদনের জন্যও পালন করা হয়। ডিমের জন্য সবথেকে উপযুক্ত জিংডিং হাঁস। এরা বছরে প্রায় ৩০০ ডিম দিতে পারে। এছাড়াও খাকি ক্যাম্পবেল ও ইন্ডিয়ান রানার হাঁস ডিমের জন্য বেশ জনপ্রিয়।
বেইজিং বা পেকিন জাতের হাঁস সাধারনত মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা হয়। এর সাথে সাথে আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে চীনা হাঁস বা মাসকোভি হাঁস পালন ব্যাপক জনপ্রিয়।
হাঁসের বিভিন্ন জাত ও তথ্য
জাতের নাম | পালনের উদ্দেশ্য | বছরে ডিমের সংখ্যা | শারিরিক ওজন |
খাকি ক্যাম্পবেল | ডিম উৎপাদন | ২৫০-৩০০ | ১.৮-২.৫ কেজি |
ইন্ডিয়ান রানার | ডিম উৎপাদন | ২৫০-৩০০ | ১.৫-২.২ কেজি |
বেইজিং বা পিকিং | মাংস+ডিম উভয় | ১৫০ | ২.৫-৫.০ কেজি |
জিংন্ডিং | ডিম উৎপাদন | ২৫০-৩০০ | ১.৬-২.২ কেজি |
মাস্কোভি বা চীনা হাঁস | মাংস উৎপাদন | ১২০ | ৩-৮ কেজি |
দেশি | ডিম+মাংস উভয় | ৮০-১২০ | ২-২.৫ কেজি |
কোন জাতের হাঁস বেশি ডিম দেয়
হাঁস পালনের ক্ষেত্রে সবার মনেই একটা প্রশ্ন থাকে, কোন জাতের হাঁস বেশি ডিম দেয়? এর উত্তর হচ্ছে জিংন্ডিং ও খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস। এরা প্রায় ৮৫% পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে। তবে ডিমের প্রডাকশন ভালো ব্যাবস্থাপনার উপর নির্ভর করে। ইন্ডিয়ান রানার হাঁসও বেশ ভালো ডিম পারে।