হাঁসের কলেরা রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

ডাক কলেরা একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। এটি হাঁস-মুরগি উভয়েরই হয়ে থাকে। সাধারণ দুই মাস বা এর বেশি বয়সী হাঁস বেশি ঝুঁকিতে থাকে। পানি বা খাবার থেকেই এ রোগের সংক্রমণ ঘটে। এটি পাস্টোরেলা মাল্টোসিডা নামক ব্যাক্টেরিয়া দিয়ে হয়।মৃত্যহার ৫০% বা তারও বেশি হতে পারে।

লক্ষণসমূহ

  • এ ক্ষেত্রেও হাঁসপাতলা সবুজ পায়খানা করে। 
  • আক্রান্ত হাঁসর হাঁটু ও মাথা ফুলে যায়।
  • পা প্যারালাইসিস হয় এবং সবুজ পায়খানা হয়।
  • শ্বাসকষ্ট হওয়ায় মুখ হা করে নিশ্বাস নেয়। পিপাসা বেড়ে যায়।
  • চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও নাক, মুখ, দিয়ে লালা ঝরে।
  • হাঁস দুর্বল হয়ে পড়ে ও ডিম পাড়ে না।

ডাক প্লেগ রোগ হলে পাতলা মলের সাথে সামান্য রক্ত দেখা যায় আর কলেরা হলে মলের সাথে রক্ত মোটেই থাকেনা।

চিকিৎসা

জেন্টামাইসিন এবং পটেনশিয়াল সালফোনেমাইড (মাইকোনিড, কসুমিক্স ) ভাল কাজ করে।১ম বার ৪৫-৬০ দিনে ,২য় বার বুস্টার ডোজ ১৫ দিন পর ৬০-৭৫ দিন পর, বুকের চামড়ার নিচে।পরবর্তিতে ৪-৫ মাস পর পর।

প্রতিরোধ ও সতর্কতা

হাঁসের খামার সব সময় পরিস্কার-পরিছন্ন রাখতে হবে। কোন সময় যদি খামারে এ রোগ দেখা দেয় রোগাক্রান্ত হাঁস আলাদা স্থানে রাখতে হবে। যে পাত্রে হাঁসের খাবার দেওয়া হয় খাওয়া হয়ে গেলে সাথে সাথে পরিস্কার করতে হবে। কলেরা রোগ নাহয় সে জন্য আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া খামারের সকল হাঁসকে কলেরা রোগের টিকা দিতে হবে। 

Leave a Comment