টার্কি মুরগির রোগ ও চিকিৎসা

টার্কি মুরগির বিভিন্ন ধরেনের রোগ বালাই হয়ে থাকে যেমনঃ-

সালমোনেলোসিস(সালমোনেলা এরিজোনা)

সালমোনেলোসিস টার্কি মুরগির ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি প্রাণঘাতী রোগ। বাচ্চা মুরগিতে বেশি দেখা যায়। সালমোনেলা মুক্ত ব্রিডার বাচ্চা থেকে আনতে হবে।

প্যারাটাইফয়েড(সালমোনেলা পুলোরাম) এ আই এরিসিপেলাসঃ

হঠাত মারা যায়,মুখের রং পরিবর্তন হয়। খাদ্য গ্রহন কমে যায়। দূর্বল হয়ে পড়ে। ভেটেনারি ডাক্তারের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক দেয়া যেতে পারে।

নিউমোনিয়া ব্লেক হেডঃ(হিস্টোমোনিয়াসিস)

১২ সপ্তাহের কম বয়সে হয়।পানি বেশি খায়। বাচ্চা বয়সে বেশি মারা যায়।ভেটেনারি ডাক্তারের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক দেয়া যেতে পারে।

ব্লুকম্ব বা টার্কি কড়োনা ভাইরাসঃ

শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়।হঠাত মারা যায়,মৃত্য হার ৫০-৯০%।

ফাউল কলেরা (Fowl cholera)

ফাউল কলেরা একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। ফাউল কলেরা হলে প্রথমে দূর্ঘন্ধ যুক্ত চুনা পায়খানা ও পরে পায়খানা হালকা সবুজ হয়ে যায়, ডানা ঝুলে পরে,ঘাড় বা পা বাকা হয়ে যায়।মৃত্য হার ৬০-৯০%,৬ সপ্তাহের বেশি বয়সে হয়,পানি বেশি খায়।

আমাশয় ও রানিক্ষেত

অল্প ও মাইল্ড রুপে হয়। ভেটেনারি ডাক্তারের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক দেয়া যেতে পারে।

কৃমি ( গেপ ওয়াম বা রেড ওয়াম) , মাইটস এবং উকুন

খাদ্যে অরুচী আসে।উতপাদন কমে যায়। প্রতি ২ মাসে একবার কৃমির ঔষধ ”এভিনেক্স” দিতে হবে।

মাইটস এবং উকুন এর জন্য আইভারম্যাক্টিন ডানার নিচে ও পিছনে স্প্রে করা যেতে পারে।

মাইকোপ্লাজমোসিস:

মাইকোপ্লাজমা গ্যালিসেপ্টিকাম ও সাইনোভি (১০-১২ সপ্তাহে বেশি হয়)।এ রোগে আক্রান্ত হলে টার্কির হাঁচি, কাশি, সর্দি, মাথা ফুলে যাওয়া লক্ষণ সমূহ দেখা দেয়।টার্কির নাক ও চোখে ফেনাযুক্ত শ্লেশ্মা নিঃস্বরণ হয়। সাধারণত শীতকালীন সময়ে বেশি দেখা দেয়।

এ রোগের চিকিৎসায় টার্কির ক্ষেত্রে টিয়ামুলিন (Tiamulin) ভালো কাজ করে।

মাইকোটক্সিকোসিস টার্কির যৌন রোগ(মাইকোপ্লাজমা মেলিয়াগ্রেডিস)

ডিমের ফারটিলিটি ও হ্যাচিং রেট কমে যায়।খাদ্যে টক্সিন বাইন্ডার ব্যভার করতে হবে।

ফাউল পক্স 

টার্কির ফাউল পক্স একটি উচ্চ মাত্রার সংক্রামক রোগ যা পক্স ভাইরাসের সংক্রমণে হয়ে থাকে। সাধারণত টার্কির শরীরের পালকবিহীন জায়গায় সাধারণত শক্ত গোটা উঠে এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ে।ফাউল পক্স এর ভ্যাকসিন দিতে হবে। হয়ে গেলে প্যারাসিটামল ও ভিটামিন দেয়া যেতে পারে।

পরিশেষে অবশ্যই চেষ্টা করবেন ভাল একজন ভেট ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে। ধন্যবাদ।

Leave a Comment