বেইজিং জাতের হাঁস পালন অন্যান্য হাঁস থেকে অধিক লাভজনক। বাংলাদেশে এই জাতের হাঁসটি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বেইজিং জাতের হাঁস পালন করে অধিক লাভবান হচ্ছেন খামারিরা।
কোন জাতের হাঁস পালন লাভজনক এটি নির্ভ্র করছে আপনি কি উদ্দ্যেশ্যে হাস পালন করতে চান তার উপর। মাংসের জন্য পালন করলে মাংসের জন্য সবথেকে লাভজনক বেইজিং হাস আর ডিমের জন্য খাকি ক্যাম্পবেল হাস।
বেইজিং হাঁসের তথ্য
বেইজিং হাঁস একটি জনপ্রিয় প্রাচীন হাঁসের জাত। এটি প্রথম চীনে ডেভেলপ হয়েছিল। বর্তমানে এটি অন্যতম বাণিজ্যিক হাঁসের জাত। বেইজিং হাঁস আরও কিছু নামে পরিচিত, যেমন পেকিন হাঁস, বেলজিয়াম হাঁস ইত্যাদি।
বেইজিং হাঁস ভালো মানের মাংস উৎপাদন ও পাশাপাশি ডিম উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ। বছরে এরা প্রায় ২৫০ টি ডিম দিতে পারে।
বেইজিং হাঁস পালনের সুবিধাঃ
- এরা খুব দ্রুত বাড়ে।
- এদের বুকের মাংসের সাইজ বড়।
- এসের ডিম বেশ বড় ও সুস্বাদু।
- ২-৩ বছর বয়স পর্যন্ত ডিম দেয়।
- ডিম উৎপাদন কমে গেলে ২ বছর পর হাঁসগুলো মাংস হিসেবে বাজারে বিক্রি করা যায়।
- খুব দ্রুত এডাল্ট হয়। মাত্র সাড়ে তিন মাসেই ডিমে আসতে পারে।
- অন্য জাতের হাঁসের সাথে একত্রেই পালন করা যায়।
বেইজিং হাসের রোগ বালাই
বেইজিং হাঁসের সাধারণত রোগ বালাই বলতে ডাকপ্লেগ এবং ডাক কলেরা রোগ হয়। ২৫ দিন ও ৪০ দিন বয়সে ডাকপ্লেগ এবং৭০ দিন ও ৯০ দিন বয়সে ডাক কলেরা ভ্যাকসিন বা টিকা দিতে হয়।
প্রাথমিকভাবে কিছু অ্যান্টিবায়েটিক এবং ভিটামিন বি জাতীয় ঔষধ খাওয়ালে বেইজিং হাঁসের রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং সেক্ষেত্রে হাঁসের মৃত্যুহার হবে খুবই কম।
বেইজিং হাঁস পালনে লাভ ক্ষতির হিসাব
বেইজিং হাস মূলত ৭০ থেকে ৮০ দিন পালন করা হয়। এরপর মাংসের জন্য বাজারে বিক্রয় করা হয়। এখানে বেইজিং হাস পালনের লাভ-ক্ষতির হিসেব দেখানো হয়েছে।
খাত | খরচ |
বাচ্চা ক্রয়ঃ ১০০ বাচ্চা * ৭৫৳ দরে | ৭৫০০৳ |
খাদ্য খরচঃ ৭০০ কেজি * ৪০৳ | ২৮,০০০৳ |
টিকা ডাক প্লেগ ভ্যাক্সিন | ১০০৳ |
মেডিসিন ও ভিটামিন | ৪০০৳ |
অন্যান্য | ২০০০৳ |
মোট = | ৩৮,০০০৳ |
বিক্রয়ঃ ২.৫ কেজি *১০০ হাস * ২৫০৳ দরে = | ৬২,৫০০৳ |
নীট লাভঃ ৬২,৫০০ – ৩৮,০০০ = | ২৪,৫০০৳ |